৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে, সরকারের ভিশন-২০৪১, সর্বোপরি বর্তমান অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন সূচকে উন্নয়নের ধারাকে টেকসই করতে পারে শুধুমাত্র শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন। সরকার অনেক মেগা প্রকল্প অত্যন্ত সফলতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছে। এবার দরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে একটি মেগা প্রকল্প।

শিক্ষার মানোন্নয়নের উপাদানগুলো হলো; অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ সংযোজন, শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থাপনার সংস্কার, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে লাগসই শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা প্রশাসন।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিক শিক্ষা উপকরণ সংযোজন এর কাজ ধীর গতিতেও হলে চলমান তবে এর যুগোপযোগীকরন প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা এবং এর ব্যবস্থাপনায় দরকার আমূল সংস্কার। শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার মান ও ব্যবস্থাপনায় মূল উদ্দেশ্যই হবে শিক্ষার্থীদের আবাসন যেন শিক্ষা ও মানবিক বৈশিষ্ট্য বিকাশের কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

পরিবর্তিত ও চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থার মূল জায়গাটি হল জাতীয়ভাবে ধারণযোগ্য ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার যুগোপযোগীকরন। পপুলেশন ডিভিডেন্টকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য একটি টেকসই শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরী। শুধুমাত্র নতুন বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জাতীয়ভাবে ধারণযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লব এবং ভিশন- ২০৪১ এর সাথে সমন্বিত কারিকুলাম সংযোজন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা প্রশাসক নির্ধারণে, শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধারণ করেন এমন শিক্ষা-বান্ধব শিক্ষক খুঁজে বের করতে হবে। একজন শিক্ষা-বান্ধব শিক্ষক তিনিই যিনি তার শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে পারেন, ধারণ করতে পারেন তার প্রতিষ্ঠানকে তথা দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে। একজন শিক্ষক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে মানসিক সংযোগ স্থাপনে, গবেষণা কর্মে এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আরোপিত প্রশাসনিক কাজে সফলতার মাধ্যমেই শিক্ষা-বান্ধব হয়ে উঠতে পারেন আর অন্য কোন উপায়েই নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *